ওস্তাদ-সার্গেদের পিটাপিটিতে মুখর হয়ে উঠেছে ফটিকছড়ির কামার পল্লী

মোস্তাফা কামরুল, ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ-উল আযহা। আর মাত্র কিছুদিন পরেই কুরবানি ঈদ। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম হচ্ছে ঈদুল আযহা। আর এই ঈদে মুসলিম ধর্মের অনুসারীরা আল্লাহকে রাজি খুশি করতে পশু জবাই করে থাকে। এই পশু জবাইয়ের জন্য প্রয়োজন হয় বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জামাদি। মাংস কাটা এবং কুরবানির পশু জবাই করার বিভিন্ন ধাপে ছুরি, দা, চাপাতি এসব ব্যবহার করা হয়। তাই পশু কুরবানিকে কেন্দ্র করে কামার পল্লীগুলো অনেকটাই ব্যস্ত সময় পার করছে। দগদগে আগুনে গরম লোহায় ওস্তাদ-সার্গেদের পিটাপিটিতে মুখর হয়ে উঠেছে কামার পল্লীগুলো। প্রস্তুত করছেন জবাই সামগ্রী। ফটিকছড়ির বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় ঈদ-উল আযহা সামনে রেখে পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামার শিল্পের কারিগররা। কয়লার দগদগে আগুনে লোহাকে পুড়িয়ে পিটিয়ে তৈরি করছেন সব ধারালো সামগ্রী। তবে এসব তৈরিতে এখনো আধুনিকতার কোন ছোঁয়া লাগেনি। পুরানো সেকালের নিয়মেই চলছে আগুনে পুড়ে লোহা হতে ধারালো সামগ্রী তৈরির কাজ। জমে উঠেছে দা, কাচি, হাসুয়া, কোপা, ছুরি, চাপাতির বেচাকেনা। ফলে এই মুহুর্ত্বে ব্যাস্ত সময় পার করছে ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা জানান, সারাবছর বেচাকেনা কিছুটা কম থাকে। কোনোরকম দিন যায়। এই সময়ের জন্য সারা বছর অপেক্ষায় থাকি। কুরবানির ঈদের আগে এক সপ্তাহ ভালো বেচাকেনা হয়। ওই সময় দামও ভালো পাওয়া যায়। নগরে এসব জিনিস কেজিতে বিক্রি হলেও ফটিকছড়িতে বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস হিসেবে। প্রতি পিস দেশী চাপাতির দাম ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এছাড়া বিদেশি চাপাতির দাম ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। লোহার তৈরি ছোট ছুরি ৬০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জবাই ছুরি মিলছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়। দা-বঁটি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৭

আপনি আরও পড়তে পারেন